১৬ মার্চ ২০১৩ শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায়
বন্দরনগরী চট্রগ্রামের পাহাড়তলী ষ্টেশন থেকে কুমিল্লার উদ্দ্যেশে ট্রেনটির
ছেড়ে আসে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রী সাধারণের যোগাযোগের
সুবিধার্থে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার চালিত রেল চালুর উদ্যোগ নেয়
সরকার। প্রথম পর্যায়ে কমলাপুর – নারায়নগঞ্জ রুটে দুইটি ট্রেনের মাধ্যমে
এই সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে। এই লক্ষ্যে ৫ কোটি ৮৩ লাখ
টাকা ব্যয়ে চীন থেকে দুইটি কম্পিউটার চালিত ট্রেন আমদানি করছে সরকার।
সবকিছু ঠিক থাকলে, রুটঃ চট্রগ্রাম -ফেনী, চট্রগ্রাম -নাজিরহাট,
চট্রগ্রাম-দোহাজারীতে পর্যায়ক্রমে এই সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে
রেলওয়ে।
প্রথম চালানে যে ২টি সেট এসেছে তা এখন নিয়ে আসা হচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর
রেলওয়ে কারখানায় কারিগরি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য। এরপর এ ট্রেন চালু করা
হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের ১০টি রুটে চলাচল করবে ১৮০
ফুট দীর্ঘ তিন বগির এ কমিউটার ট্রেন। প্রাথমিকভাবে সৈয়দপুর- লালমনিরহাট,
দিনাজপুর রংপুর, ঢাকা ভৈরব, ঢাকা ময়মনসিংহ, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও
চট্টগ্রামের ১০টি রুটে এই কম্পিউটার ট্রেন চলাচল করবে। আর এসব ট্রেন চলাচল ও
রক্ষণাবেক্ষণে কমপক্ষে ৩০ জন কর্মীকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়
শিক্ষানবিশ স্কুলে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। রেলওয়ের সূত্র জানায়, উভয়
পাশে ইঞ্জিন চালিত ওই ট্রেনে তিনটি যাত্রীবাহী কোচ যুক্ত রয়েছে। এগুলো হলো
ড্রাইভিং পাওয়ার কার (ডিপিসি), ট্রেইলার কার (টিসি) এবং ড্রাইভিং
ট্রেইলার কার (ডিটিসি), ডিইএমইউ ট্রেনগুলো বিদ্যুতে চলবে। ট্রেনের মধ্যেই
ডিজেল থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে এবং তাতে চালানো হবে এ ট্রেন। এ ট্রেনের
প্রতিটি সেটে ১৫১ জন যাত্রীর আসনে বসার ব্যবস্থা থাকলেও তিন শতাধিক যাত্রী
ভ্রমণ করতে পারবেন। সূত্র আরও জানায়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে
যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুতগতি সম্পন্ন ওই কম্পিউটার ট্রেন চীন থেকে
আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। সর্বমোট ২০ সেট ট্রেন অর্থাৎ ৬০টি কোচ আনা হচ্ছে
প্রাথমিক পর্যায়ে। ওই ট্রেনের প্রথম চালানের ২টি সেট গত ২৩ ফেব্রুয়ারি
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ মহাপরিচালক খলিলুর
রহমান জানান, দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেনগুলো বিশ্বমানের। আগামী মার্চে এসব
দেশের রেলবহরে যুক্ত হবে। ডিইএমইউ ট্রেন প্রকল্পের পরিচালক মো. সাইদুর
রহমান জানান, ইতোমধ্যে ট্রেনের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
এগুলো খালাসের পর দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানো হবে।
সেখানে কারিগরি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চালু করা হবে। সূত্র মতে,
প্রাথমিকভাবে সৈয়দপুর লালমনিরহাট, দিনাজপুর রংপুর, ঢাকা ভৈরব, ঢাকা
ময়মনসিংহ, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ১০টি রুটে কম্পিউটার ট্রেন চালু
করা হবে। চলতি বছরেই ব্রডগেজ লাইনে চলাচল উপযোগী আরও ১০ সেট কম্পিউটার
ট্রেন ভারত থেকে আনা হচ্ছে। ওই ট্রেনগুলো পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে যুক্ত হবে
বলে জানা গেছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মঞ্জুর
উল আলম চৌধুরী জানান, ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিটের ওই ট্রেন চলাচলে
যাবতীয় প্রস্ত্ততি নিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এসব ট্রেন চলাচল ও
রক্ষণাবেক্ষণে কমপক্ষে ৩০ জন কর্মীকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়
শিক্ষানবিশ স্কুলে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment