Social Icons

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ পাওয়ার কিছু এক্সক্লুসিভ এবং অব্যর্থ টিপস

ফাইভার (fiverr.com) ইতিমধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ মার্কেটপ্লেসে গিগ রেট ৫ ডলার দেখে অনেকে কাজ করতে কম উৎসাহিত হয়। আসলে বিষয়টি এরকম না। এ মার্কেটপ্লেসে কাজ করে  প্রতিমাসে গড়ে ১৫০০ ডলারও আয় করা যায়। আবার অনেকেতো দেখেছি  ৩,০০০- ৫,০০০ডলারও আয় করছেন। অনেকেই ফেসবুকে জানতে চেয়েছে কিভাবে fiverr.com এ সফল হওয়া যায়। সেজন্যই লিখে ফেললাম আজকের এ পোস্টটি।



 

 

 

    

কোন ধরণের গিগগুলো ফাইভারে বেশি বিক্রি হয়?

সাধারণত ক্রিয়েটিভ ধরনের গিগগুলো বেশি বিক্রি হয়। ক্রিয়েটিভ গিগের উদাহরণ। যেমনঃ
voice narration, video creating, bizarre services, proofreading, content creation like blog posts, artwork creation like sketches or logos, a lot of computer services like fixing WordPress or programming in .NET, etc.

কিভাবে গিগ কে সার্চের ফলাফলের প্রথমে রাখব?
কোন বায়ারের যখন কোন সার্ভিস দরকার হয়, তখন ফাইভারে গিয়ে সার্চ করে। তখন সার্চের প্রথম দিকে আপনার গিগটিকে পাওয়া গেলে বিক্রির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গিগটিকে সার্চের ফলাফলের প্রথমে আনার জন্য টিপস শিখিয়ে দিচ্ছি।

১ম পদক্ষেপঃ
গিগ অপ্টিমাইজ করুনঃ
১) গিগের টাইটেলটি আকর্ষণীয় করুন। যাতে যে কেউ টাইটেলটা দেখেই ভিতরে গিয়ে পড়তে আকর্ষণবোধ করে। টাইটেলে অবশ্যই সার্চের সম্ভাব্য কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
২) ট্যাগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করুন।
৩) ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন কাউকে হঠাৎ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়, এরকম কিছু ব্যবহার করুন। গতানুগতিকের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রম কিছু করলেই সেটি মানুষকে আকর্ষণ করে। সুতরাং সে চেষ্টাটা করুন।
৪) গিগে যদি ভিডিও ব্যবহার করেন তাহলে সেক্ষেত্রে বিক্রির সম্ভাবনা ৬০% বেড়ে যায়। এটা ফাইভার অথোরিটি থেকেই বলা আছে। সুতরাং চেষ্টা করুন, ফাইভারের নিয়ম মেনে ভিডিও তৈরি করে সেটি গিগে ব্যবহার করার জন্য।

২য় পদক্ষেপঃ
গিগ অপ্টিমাইজ হয়ে গেলে এবার দুটি বিষয় নির্ভর করে সার্চে উপরে থাকার জন্য। এ দুটি বিষয় হচ্ছেঃ গিগ পপুলারিটি, গিগ রিভিউ।

১নং বিষয়ঃ গিগ পপুলারিটি অর্জনঃ
গিগের ভিতর যদি প্রচুর মানুষকে নিয়ে আসতে পারেন অর্থাৎ প্রচুর মানুষকে গিগটি পড়াতে পারেন তাহলেই সেই গিগের পপুলারিটি অর্জিত হয়। প্রচুর মানুষকে গিগটির লিংকে ক্লিক করানোর জন্য কিছু এস.ই.ও টিপস ব্যবহার করতে হবে।

সোশ্যালমিডিয়াতে ক্যাম্পেইনঃ
গিগটিকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে (ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিন, রেডিট ইত্যাদি) শেয়ার করুন। সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনে সফল হওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যে জেনেসিসব্লগসে কয়েকটি এক্সক্লুসিভ লেখা পোস্ট হয়েছে। সেগুলো পড়ে নিয়ে সেই অনুযায়ি কাজ করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
১। ফেসবুকঃ http://genesisblogs.com/tutorial-2/638
২। টুইটারঃ ক) http://genesisblogs.com/tips-2/5384
খ) http://genesisblogs.com/tips-2/7649
৩। লিংকডিনঃ http://genesisblogs.com/tips-2/2667
৪। পিন্টারেস্টঃ http://genesisblogs.com/tips-2/3759
৫। রেডিটঃ http://genesisblogs.com/tips-2/7820
৬। সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনে সফল না হওয়ার কারনঃ http://genesisblogs.com/tutorial-2/7446
৭। সফলভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের ২৬টি পরামর্শঃ
http://genesisblogs.com/tips-2/6385

গিগ সংশ্লিষ্ট ব্লগপোস্টের মাধ্যমে গিগের লিংক প্রচারঃ
গিগটি যদি লোগো ডিজাইন সম্পর্কিত হয়ে থাকে, তাহলে আকর্ষণীয় লোগো ডিজাইনের উপর টিপস নিয়ে কোন ব্লগপোস্ট লিখে ফেলতে পারেন। এ পোস্টটি প্রচুর মানুষ পড়বে, প্রচুর মানুষকে লেখাটি আকর্ষণও করবে। সেই পোস্টের ভিতর যদি গিগের লিংকটি দিয়ে আসেন তাহলেও গিগটিতে অনেক ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
এ দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে গিগের পপুলারিটি বৃদ্ধি করুন।

 ২নং বিষয়ঃ গিগ রিভিউ বৃদ্ধিঃ
উপরের কাজগুলো করলে আশাকরা যায় খুব দ্রুত কিছু গিগ বিক্রির অর্ডার পেয়ে যাবেন। গিগ অনুযায়ি কাজ করে এবং সময়মত কাজ ডেলিভারি দিয়ে বায়ারের কাছ থেকে ভাল ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন। যতবেশি ভাল ফিডব্যাক পাবেন, আপনার গিগ ততবেশি সার্চের উপরে উঠতে থাকবে।

পুরো পোস্ট অনুযায়ি কাজ করলে অবশ্যই ফাইভারে প্রচুর গিগ  বিক্রি করতে পারবেন

সাইন আপ করতে ক্লিক করুন
 https://www.fiverr.com/touhidbd007



সূত্র: Techtunes



0 comments:

Post a Comment