‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়্যা দেখো তাই,
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’- না এ প্রবাদটিকে খুব একটা মূল্য দেননি
বৃটিশ নাগরিক কেন উইলম্যান। তবে তিনি না দিলেও তার পোষা কুকুরটি কিন্তু ছাই
উড়িয়ে ঠিকই খুঁজে বের করেছে অমূল্য রতন। সমুদ্র সৈকতে কুকুর নিয়ে
হাঁটতে গিয়ে উইলম্যান কুড়িয়ে পেয়েছেন সুগন্ধযুক্ত
শিলাখণ্ড অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের পেটে থাকে এক ধরনের নরম পদার্থ বিশেষ,
যা দিয়ে দামি সুগন্ধি তৈরি করা হয়) নামের অমূল্য রতনটি। তিমি বমি করে
ফেলে দিলে সাধারণত এটি কুড়িয়ে পাওয়া যায়।
এর দাম হাঁকা শুরু হয়েছে ৫০ হাজার ইউরো থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত দামে বিক্রি হতে পারে অ্যাম্বারগ্রিসটি। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় দেড় কোটি টাকা। স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, বৃটেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চিলীয় শহর মোক্যাম্বির সমুদ্র সৈকতে নিজের পোষা কুকুরটি নিয়ে হাঁটতে যান উইলম্যান। এ সময় তার কুকুরটি একটি বড় হলুদ আকারের পাথরে খোঁচাখুঁচি শুরু করে। কিন্তু সে দিকে লক্ষ্য না করে অনেক দূর চলে যান তিনি। পরে আবার কি মনে করে ফিরে এসে সেটি হাতে তুলে নেন। শিলাখণ্ডটি হাতে নিয়েই উইলম্যান বুঝতে পারেন এটি হচ্ছে মহামূলবান অ্যাম্বারগ্রিস। তারপরই দামি রতনটি নিজ হাতে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সাধারণত তিমির বমি থেকে বেরিয়ে আসে দামি সুগন্ধি অ্যাম্বার গ্রিস। বমির পর এটি পানিতে ভাসতে থাকে।
তাজা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে বের হয় বাজে
গন্ধ। কিন্তু পর্যায়ক্রমে যত পুরান হতে থাকে ততই সুগন্ধযুক্ত হতে থাকে
এটি। আস্তে আস্তে বের হয়ে আসে কস্তুরির গন্ধ। তারপর এর থেকে তৈরি হয় দামি
দামি সব সুগন্ধি। উইলম্যানের কুড়িয়ে পাওয়া বস্তুটি সত্যিকার অর্থে
অ্যাম্বারগ্রিস কি না তা এখনও পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু
ইতিমধ্যেই এটি বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। ফরাসি এক ব্যবসায়ী এরই মধ্যে এর
দাম হেঁকে বসেছেন ৫০ হাজার ইউরো। নিশ্চিত হওয়ার পর অ্যাম্বারগ্রিসটির দাম
সর্বোচ্চ ১ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর দাম
বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে এতে বিশেষ গুণ রয়েছে। যা সুগন্ধি তৈরির কাজে
কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
0 comments:
Post a Comment