Social Icons

কালবৈশাখীর সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন

THINK CREATIVE BE POSITIVE
আসসলামু আলাইকুম। আশাকরি বর্তমানে সুস্থ্য এবং ভাল আছেন। শুধু নিজের কম্পিউটার, সফটওয়্যার আর মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকলে হবে? এগুলো ঠিক মত চালনা করার পাশাপাশি এর অন্যান্য সতর্কতা মূলক ব্যবস্হাও নিতে হবে ।
শীতকাল শেষ। এখন আসছে গরমের দিন। আসছে কালবৈশাখী। কালবৈশাখীর দিনে ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াবার যে কি আনন্দ, তা যারা করেছে তারাই জানে। কিন্তু বর্তমানের শহর এলাকার মানুষগুলো আম কুড়াবার সুখ না জানলেও, কালবৈশাখী/বজ্রপাতের তীব্র ক্ষতিকর প্রভাব সবাই জানে । সুতরাং উক্ত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া দরকার, চলুন এক নজরে দেখে নেই:

Lightning protector
১।    আপনার বাসার বিদ্যুৎ নিরোধক যন্ত্রের ( Lightning protector ) কার্যকারিতা যাঁচাই করুন (যদি থাকে)। পূর্ব প্রস্তুতি নিন এবং নিরাপদ থাকুন।



Lightning protector
২।    বাসা থেকে বের হবার পূর্বে কম্পিউটার, টিভি ও অন্যান্য বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতির, সম্ভব হলে, বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।

৩।    পরিবারের সকলের মধ্যে বজ্রপাতের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা জাগ্রত করুন এবং বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক ও যোগাযোগ তার সমূহ ( টিভির এন্টেনা, ডিসের এ্যান্টেনা, টেলিফোনের তার ইত্যাদি )  বিচ্ছিন্ন রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৪।    বিদ্যুৎ চমকানোর কারনে ভোল্টেজ প্রচন্ড ভাবে উঠা-নামা করে। এ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য বাসার টেলিফোন সেট, কর্ডলেস ফোন, টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সাউন্ড সিস্টেম, ইন্টারনেট লাইন ইত্যাদির সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

বজ্রপাত
বজ্রপাত
৫।    সম্ভব হলে মেইন পাওয়ার সুইচ বন্ধ করুন। কারণ প্রচন্ড বজ্রপাতে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

৬।    কার বা জীপে আরোহনরত থাকলে গাড়ীর দরজা ও জানালা বন্ধ রাখুন। এটি সরাসরি বিদ্যুৎ স্পৃষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা কমাবে এবং তীব্র শব্দের সরাসরি আঘাত হতে আপনাকে রক্ষা করবে।

৭।    মোটরসাইকেল, সাইকেল চালকরা বাইক/সাইকেল থেকে নেমে পড়ুন এবং নিরাপদ আশ্রয় খুঁজুন।

৮।    বড় গাছের নিচে কখনও অবস্হান করবেন না কারণ গাছ বিদ্যুৎ সুপরিবাহী ও বিদ্যুৎ আকর্র্ষী।

৯।    ঝড়ের সময় গ্যাসোলিন জাতীয় দাহ্য পদার্থ ব্যবহার পরিহার করুন।

১০।    শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হোন। কারণ বজ্রপাতের বিকট শব্দে তারা ভীত হতে পারে। বজ্রমেঘ দেখা মাত্র শিশুদের খেলার মাঠ থেকে ডেকে নিন।

১১।    ঘরের সব দরজা জানালা বিশেষ করে কাঁচের জানালা বন্ধ রাখুন এবং লোহার রড, গ্রীল স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

১২।    বিদ্যুৎ চমকানোর সময় স্টীলের হাতলের পরিবর্তে কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা বেশী নিরাপদ।

১৩।    বজ্রমেঘ দেখে, চিনতে শিখুন। নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করুন। নিজের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করুন।

বজ্রমেঘ
বজ্রমেঘ
১৪।    পুকুর, খাল, নদী বা এ জাতীয় জলাশয়ে অবস্হান করবেন না। কারন এসব জলাশয়ে বজ্রপাত হলে পুরো জলাশয়টি উচ্চ ভোল্টেজ এ পরিনত হবে। আপনি যদি উম্মুক্ত স্হানে নৌকায় অবস্হান করেন তবে যত দ্রুত সম্ভব ভূমিতে নামার চেষ্টা করুন।

তীব্র বজ্রমেঘ
তীব্র বজ্রমেঘ
১৫।    তীব্র বজ্রপাতের সময় কেউ ঘরের বাহিরে যাবেন না। আপনি যদি খোলা জায়গায় থাকেন তাহলে তবে দ্রুত নিকটতম যেকোন ঘরে ঢুকে পড়ুন। একান্তই সুযোগ না থাকলে বুকে হাত রেখে মাথা নিচু করে মাটিতে বসে পড়ুন। ( সিরিয়াস )

১৬।    বজ্রপাতের সময় জনবহুল এলাকা পরিহার করুন কারন আপনার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি বিদ্যুৎ স্পৃষ্ঠ হলে তার দ্বারা আপনিও বিদ্যুৎ স্পৃষ্ঠ হতে পারেন।

0 comments:

Post a Comment