Social Icons

কর্মসংস্থানের একটি বড় জায়গা হয়ে উঠেছে অনলাইন দুনিয়া।

ভার্চুয়াল দুনিয়ায় মানুষের জন্য রয়েছে সম্ভাবনার বিপুল সমাহার। কর্মসংস্থানের একটি বড় জায়গা হয়ে উঠেছে অনলাইন দুনিয়া। বর্তমানে অনেকেই ঘরে বসে ইন্টারনেটে আয়-রোজগারকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকতে হবে। ইন্টারনেটে বহু ফোরাম ও ব্লগ আছে, যারা সদস্যদের কাছে নিয়মিত ইন্টারনেটে আয়বিষয়ক তথ্য দিয়ে থাকে। কিছু দিন পর দেখা যায় সাইটটি ভুয়া। এ জন্য এ বিষয়ে আপনাকে চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে।


গুগল অ্যাডসেন্স
গুগলের এনে দেয়া বিজ্ঞাপন নিজের ওয়েবসাইটে দিয়ে আয় করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কেউ ওয়েবসাইটে ভিজিট বা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। আপনার আয়ের পরিমাণ ১০০ ডলার হলেই গুগল চেকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেয়। গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে জানতে www.google.com/adsense সাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
ওয়েবসাইট ডেভেলপিং
ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার কাজ পেতে আপনাকে অনলাইনে বিড করতে হবে। অন্যদের থেকে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে অবশ্যই জুমলা জানা থাকতে হবে। এ ছাড়া অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যেখানে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করা যায়। ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি লেখালেখি করা যায় এসব সাইটে। এ জন্য ওডেক্স, গেট আ কোডার, রেন্ট আ কোডার, টপ কোডার সাইটগুলো বেশ জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে শুরুতেই আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন সাইটে কাজের নমুনা দেয়া থাকে। www.odesk.com, www.getacoder.com  ইত্যাদি সাইট দেখে নিজেকে যোগ্য মনে করলে বিড করে কাজটি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যত বেশি প্রজেক্টের কাজ করবেন তত বেশি অভিজ্ঞতা যোগ হবে আপনার প্রোফাইলে।
গ্রাফিকস ডিজাইন
আপনি গ্রাফিকস ডিজাইনের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে কাজ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো, প্যাড, বিজনেস কার্ড, লেটার হেড তৈরি করার মতো কাজ পাওয়া যায় অনলাইনে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন design.com, www.graphiccompetitions.com ইত্যাদি সাইট থেকে।
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট আউটসোর্সিংয়ের একটি জনপ্রিয় কাজ। আপনি ভালো একটি গেমস অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে প্রচার করলে ফেসবুক সেটি কিনে নিতে পারে। ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপের কাজ পাওয়া যায়। এ সম্পর্কিত তথ্য জানতে ভিজিট করতে পারেন www.developers.facebook.com সাইটে।
এ ছাড়া টেমপ্লেট ডিজাইন, ফ্ল্যাশ তৈরি, প্রোডাক্ট রিভিউ, ব্লগ তৈরি, প্রজেক্ট টেস্টারের মতো অসংখ্য কাজ রয়েছে অনলাইন জগতে। আপনার কারিগরি জ্ঞান না থাকলে অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল রয়েছে, সেগুলো দেখে আপনি কাজগুলো শিখে নিতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার সৃজনশীলতাকে যত বেশি কাজে লাগাতে পারবেন তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

0 comments:

Post a Comment